এবিএনএ : পবিত্র আশুরা উপলক্ষে কারবালার বিয়োগাত্মক ঘটনা স্মরণে তাজিয়া মিছিল বের করেছে শিয়া সম্প্রদায়।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রাজধানীর পুরান ঢাকার হোসনী দালান ইমামবাড়া থেকে এ মিছিল বের হয়। এর আগে রাতভর হোসনী দালানে চলে ধর্মীয় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান।
গত বছর হোসনী দালানে তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলার ঘটনায় এবছর পূর্ব সতর্কতা হিসেবে পুরো এলাকা ও আশে-পাশে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলেছে আইনশৃংখলা বাহিনী। ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণে রয়েছে হোসনী দালানসহ মিছিলের গন্তব্য স্থানসমুহ। র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তাজিয়া মিছিলের হোসনী দালান কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব প্রায় ২০০ স্বেচ্ছাসেবককে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিযুক্ত করেন।
হোসনী দালান এলাকায় ও তাজিয়া মিছিলে ‘হায় হোসেন’ বলে মাতম তোলেন শিয়া মুসলমানরা। তবে রাতে কারবালার ঘটনা নিয়ে মুরব্বিরা বয়ান রাখেন। হোসনী দালানের তত্ত্বাবধায়ক এম এম ফিরোজ হোসাইন সাংবাদিকদের জানান, রাতভর বয়ানের পর সকালে তাজিয়া মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি হোসনী দালান থেকে বের হয়ে বকশী বাজার লেন, কলপাড়, উমেশ দত্ত রোড, উর্দুরোড ঢাল, লালবাগ চৌরাস্তা, এমিতখানা রোড, আজিমপুর মেটারনিটি, নীলক্ষেত মোড়, সিটি কলেজ, ধানমন্ডি-২, রাইফেলস স্কয়ার হয়ে অস্থায়ী কারবালায় (বিজিবি সদর দপ্তরের গেটের উল্টো দিক) এসে শেষ করবেন।
এবছর তাজিয়া মিছিলে পুলিশের নির্দেশনার কারণে জিঞ্জির, দা, ছুরি, ঢোল, লাঠি, আগুন খেলাসহ অন্যান্য অস্ত্র বহন করা নিষিদ্ধ ছিল। ২০১৫ সালে হোসনী দালান এলাকায় শিয়াদের তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে জঙ্গিরা বোমা হামলা চালায়। এতে দুইজনের মৃত্যু ও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিল।